,

নোয়াখালীতে চোরাই চালসহ আ.লীগ নেতা ধরা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
হাতেনাতে আটক হলেন নোয়াখালী সদর উপজেলার মাইজদী বাজারে ওএমএস ডিলার ও আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন মজুমদার।

মঙ্গলবার হতদরিদ্র গরিব সুবিধাভোগীদের চাল ও আটা অধিক লাভে বস্তা হিসেবে বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান,মাইজদী বাজারের ওএমএস ডিলার স্বপন মজুমদার হতদরিদ্র গরিবদের মাঝে চাল বিক্রি না করে অধিক লাভে স্থানীয় ফয়েজের নিকট পাঁচ বস্তা চাল বিক্রি করে। ফয়েজ ভ্যানগাড়ি যোগে পাঁচ বস্তা চাল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা চালকসহ বস্তাভর্তি গাড়িটি আটক করে। এ সময় ফয়েজ ও ভ্যানচালক জানান স্বপন মজুমদার থেকে এ পাঁচ বস্তা চাউল তারা ক্রয় করেছেন। সরকারী ৯০০ টাকারা ৩০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা এক হাজার তিন শত টাকা দরে ক্রয় করেন তারা।

এ সময় স্থানীয়রা সাংবাদিকদের খবর দেন। সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নোয়াখালী খাদ্য অধিদপ্তরে খবর দেয়। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ও ইউসুফ আলী ঘটনাস্থলে এসে ডিলার স্বপন মজুমদারের উপস্থিতিতে আটক চাউল ক্রেতা ফয়েজ ও ভ্যান গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পান।

এ সময় ওএমএস ডিলার স্বপন মজুমদার ও তার ভাই সঞ্জয় মজুমদার তাদের দোকানের সামনে চাল ক্রেতা ফয়েজ ও ভ্যান চালকের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তাদের দিকে তেড়ে আসে। উপস্থিত জনতা বারণ করলে তখন ডিলাররা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যান।

এসময় ঘটনাস্থলের আসে পাশে বসবাসরত স্বপন মজুমদারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা প্রতিবাদকারী সাধারণ জনগণের উপর হামলা করতে উদ্যত

হয়। একই সময় সন্ত্রাসীরা বস্তা ভর্তি ভ্যান গাড়িটি ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকরা সুধারাম থানার ওসিকে অবহিত করলে থানার এসআই মনিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

স্থানীয় শাহাবুদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম খোকন অভিযোগ করেন, ডিলার স্বপন মজুমদার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব বিস্তার করে দীর্ঘদিন থেকে এখানে গরিব ও হতদরিদ্রদের কাছে চাল ও আটা বিক্রি না করে খোলা বাজারে ও ব্যক্তি বিশেষের কাছে বেশি দামে বস্তা হিসেবে বিক্রি করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে অফিসকে ম্যানেজ করে ও স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ও বখাটেদেরকে সুবিধা দিয়ে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে স্বপন মজুমদার।

এ নিয়ে জানতে চেয়ে নোয়াখালী জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে (কারিগরি) প্রদান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *